দক্ষিণ অঞ্চলে প্রাচীন জনপদ খুলনা জেলার গেটওয়ে ফুলতলা উপোজলা। সমাজ বিজ্ঞানীরা এ জনপদের প্রকৃত জন ও জন-সংস্কৃতির রূপ অম্বেষনে সফল হয়েছিলেন তার প্রমান পাওয়া যায় না। খুলনার সংস্কৃতির আদি রূপকার হিসেবে পোদ, চন্ডাল এবং পুন্ড্র ক্ষত্রিয়দের বিষয়ে সাধারণ আলোচনা হতে এই এলাকার প্রাচীন সংস্কৃতির আভাষ পাওয়া যায়। অত্র এলাকার জন-সংস্কৃতির সংগে মিশে আছে আদিবাসী কোম দের লোকিক বিশ্বাস। এর জনগোষ্টীর সমাজিক রীতিনীতি, আচার-আচরণ, পূজা লোকজ বিশ্বাস থেকে জানা যায়- এ উপজেলার সংস্কৃতি বৈদিক যুগের পূর্বের। এ উপজেলায় এখনও শীতলা, মনযা, যষ্টী পুজা বেশ ঘটা করেই হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের জন-সংস্কৃতিতে উল্লেখিত দেব-দেবীরা বেশ প্রবল। জন-সংস্কৃতির উল্লিখিত পুজা আর্য্যরা নিয়ে আসে নাই বলেই জানা যায়। আর্য্য ভাষাভাষী আর্য্য জাতির আবিভার্বের পর অ অঞ্চলে আর্য্য অভ্যতার সূচনা হয় এবং আর্য্য সভ্যতা অবিকৃতভাবে দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে।
১৮৮৪ সালে কলকাতার সাথে যোগাযোগর জন্য লেপথ স্থাপিত হয় এবং স্টীমার সার্ভিস চালু হয়। ফলে বিভিন্ন এলাকার মানুষের আগমনের ফলে শিল্প, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পড়ে। ফলে এখানকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচয়টি আর হোমোজিনিয়াস থাকেনা। তবুও সাংস্কৃতিক পূর্ববর্তী ধারাটি ক্ষীণভাবে এখনও প্রবাহমান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস